ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচের পদ থেকে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের বিদায়ের পর এক দশকের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে; কিন্তু এখনও সেই হারানো পথ খুঁজে পায়নি দলটি। ম্যানচেস্টার সিটিকে সাফল্যের চূড়ায় বসানো পেপ গুয়ার্দিওলা চলে গেলে, এই দলেরও কি একই হাল হবে? গুয়ার্দিওলা নিজে অবশ্য তেমন কোনো শঙ্কা দেখছেন না। স্প্যানিশ এই কোচের দৃঢ় বিশ্বাস, ইউনাইটেডের মতো কখনও ভেঙে পড়বে না সিটি। ইংলিশ ফুটবলের ইতিহাসে এখনও ফার্গুসনই সফলতম কোচ হয়ে আছেন। ইউনাইটেডে ২৭ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারে ১৩টি লিগ শিরোপা, দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, পাঁচটি এফএ কাপ ও চারটি লিগ শিরোপা জিতেছেন তিনি। ২০১৩ সালে কোচিং ক্যারিয়ারের ইতি টেনে দেন ফার্গুসন। কিংবদন্তি চলে যাওয়ার পর পথ হারিয়ে ফেলে ইউনাইটেডও। একের পর এক কোচ বদলেও সাফল্যের কক্ষপথে আর ফিরতে পারেনি প্রিমিয়ার লিগের সফলতম ক্লাবটি। ডেভিড ময়েস, লুই ফন খাল, জোসে মরিনিয়ো, উলে গুনার সুলশার এবং বর্তমানের এরিক টেন হাগের কোচিংয়ে দলটির সবচেয়ে বড় সমস্যা বারবার ফুটে উঠেছে অধারাবাহিকতা। ফার্গুসনের বিদায়ের পর ১১ বছরে একবারও প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি দলটি, ইদানীং তো শিরোপাটির জন্য লড়াইও করতে পারে না তারা। গত মৌসুমেই যেমন অষ্টম হয়ে লিগ শেষ করে ইউনাইটেড। অন্যদিকে, গুয়ার্দিওলার কোচিংয়ে উড়ছে সিটি। গত সাত মৌসুমে ছয়বার ঘরে তুলেছে প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা। চলতি মৌসুমেও লিগ শিরোপা জয়ের দৌড়ে বেশ ভালোভাবেই আছে তারা। গুয়ার্দিওলার হাত ধরে অধরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বাদও পেয়েছে ক্লাবটি। গুয়ার্দিওলার সঙ্গে সিটির চুক্তির মেয়াদ চলতি মৌসুম পর্যন্ত। গুঞ্জন রয়েছে, মৌসুম শেষে ইংলিশ ক্লাবটি ছাড়তে পারেন তিনি। সিটির সঙ্গে নতুন চুক্তির প্রসঙ্গ বারবার এড়িয়ে গেছেন গুয়ার্দিওলা। তাই তার চলে যাওয়ার সম্ভাবনা জোরাল হচ্ছে আরও। সামনে তেমন কিছুই যদি হয়, তারপরও সিটি সাফল্যের পথ ধরেই এগিয়ে যাবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস গুয়ার্দিওলার। “আমি জানি না, ইউনাইটেডে কী হয়েছিল। মাত্র একজন মানুষ চলে যাওয়ার পর সবকিছু যদি ভেঙে পড়ে, তাহলে এটা ক্লাবের জন্য খারাপ লক্ষণ। (গুয়ার্দিওলা চলে গেলে) হয়তো তারা (সিটি) ভুল করবে, কিন্তু ভুল করার সময় তারা সেটা সমাধানও করবে।” “এতে ভুলগুলো দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে, এটা নিশ্চিত। ছেলেরা জানে তাদের আসলে কী করতে হবে।”