ইন্টার মায়ামির সামনে বাধার দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ব্র্যাড গুজ্যান। একতরফা লড়াইয়ে লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেসদের একের পর এক আক্রমণ ঠেকিয়ে দিচ্ছিলেন আটলান্টা ইউনাইটেডের গোলকিপার। কিন্তু সেই দেয়াল ভেঙে গেল জর্দি আলবার এক গোলায়। অভিজ্ঞ ডিফেন্ডারের দারশ গোলে প্রত্যাশিত জয় পেল ইন্টার মায়ামি। মেজর লিগ সকার ইস্টার্ন কনফারেন্স কোয়ার্টার-ফাইনাল প্লে অফ সিরিজের প্রথম ম্যাচে আটলান্টাকে ২-১ গোলে হারায় ইন্টার মায়ামি। নিয়মিত মৌসুমে পয়েন্টের রেকর্ড গড়া মায়ামির প্লে অফ অভিষেক হলো এই ম্যাচ দিয়ে। মেসিরও প্রথম প্লে অফ ম্যাচ। গ্যালারি ছিল দর্শকে ঠাসা। বাংলাদেশ সময় গতকাল শনিবার সকালে নিজেদের মাঠে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় মায়ামি। সেই গোলেও বড় অবদান আলবার। বাঁ প্রান্তে বক্সের একটু বাইরে থেকে দুই ডিফেন্ডারের আড়াল থেকে একজনের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে চকিতে বল বাড়িয়ে দেন তিনি। সুয়ারেস এগিয়ে গিয়ে গড়ানো শটে বল জড়ান জালে। এরপর মায়ামির একের পর এক আক্রমণ থেকে আটলান্টাকে রক্ষা হরেন গুজ্যান। সপ্তম মিনিটের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া মেসির দারণ শট পাখির মতো উড়াল দিয়ে বাইরে পাঠিয়ে দেন তিনি। ২৬তম মিনিটে আবারও মেসির গতিময় শটে লাফিয়ে কোনোরকমে ওপর দিয়ে পাঠিয়ে দেন আটলান্টার গোলকিপার। মিনিট তিনেক পর বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া মেসির শট বাধা পায় পোস্টে। ফিরতি বলে মার্সেলো ওয়েগান্টের বুলেট গতির শট ডাইভ দিয়ে বাঁচান গুজ্যান। মায়ামির আক্রমণের স্রোতের মধ্যেই ৩৮তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে সমতা ফেরায় আটলান্টা। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে ও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও আক্রমণ চলতে থাকে মায়ামির। ৫৫ তম মিনিটে খুব কাছ থেকে দিয়োগো গোমেসের প্রচেষ্টা থামিয়ে দেন গুজ্যান। একটু পরই আলবার ওই গোল। ডান প্রান্তে মেসি বল ধরে বক্সের ভেতর জটলার ভেতর না দিয়ে বাড়িয়ে দেন বক্সের বাইরে আলবাকে। বাঁ পায়ে বল ধরে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে বাঁ পায়ের আগুনে শট নেন আলবা। গুজ্যান এবার ডাইভ দিয়েও নাগাল পাননি। মায়ামি চেষ্টা চালিয়ে যায় এরপরও। একবার কাছ থেকে বল বাইরে পাঠান মেসি। ৭২তম মিনিটে জটলার ভেতর থেকে তার শট অসাধারণ দক্ষতায় পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন গুজ্যান। হতাশায় মাঠে লাথি মারতে দেখা যায় মেসিকে। সুয়ারেস-গোমেসদের কয়েকটি চেষ্টাও বারবার ব্যর্থ হয়। ৮৩তম মিনিটে আলবার টোকায় বল জালে ঢোকার মুহূর্তে ঠেকান আটলান্টার ডিফেন্ডার। ৯০ মিনিট শেষে যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে আবার মেসিকে হতাশ করেন গুজ্যান। শেষ পর্যন্ত ব্যবধান আর বাড়াতে পারেনি মায়ামি।