জার্মান পুলিশ পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ডুসেলডর্ফের একটি পিৎজার রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়েছে। যেখানে গ্রাহকরা মেনুতে আইটেম নম্বর ৪০ চাইলে পিৎজার পাশাপাশি পেয়ে যেতেন কোকেন। অপরাধ পরিচালক মাইকেল গ্রাফ ফন মল্টকে ডুসেলডর্কে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া পিৎজাগুলোর মধ্যে একটি ছিল।’ মাইকেল বলেন, জার্মান সংবাদ সংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, গত মার্চ মাসে খাদ্য পরিদর্শকদের সন্দেহ হলে পুলিশকে প্রথমে খবর দেওয়া হয়। এরপর ড্রাগ স্কোয়াড কর্মকর্তারা রেস্তোরাঁটি পর্যবেক্ষণ করা শুরু করেন। তারা তখন আবিষ্কার করেন কেন পিৎজা নম্বর ৪০ এত জনপ্রিয় ছিল। মাইকেল গত সোমবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। ডুসেলডর্ফ পুলিশ জানায়, পুলিশ একবার পিৎজারিয়ার ম্যানেজারের অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায়। ৩৬ বছর বয়সী ওই ম্যানেজার তখন জানালা দিয়ে মাদকের একটি ব্যাগ বাইরে ছুড়ে ফেলেছিলেন। ব্যাগটি উড়ে গিয়ে ঠিক পুলিশ কর্মকর্তাদের হাতেই পড়েছিল। সেই ব্যাগে ছিল ১ দশমিক ৬ কিলোগ্রাম (৩.৫ পাউন্ড) কোকেন, ৪০০ গ্রাম (১৪ আউন্স) গাঁজা এবং নগদ ২ লাখ ৬৮ হাজার ইউরো (২ লাখ ৮৯ হাজার ডলার)। পুলিশ বলেছে, রেস্তোরাঁটির ম্যানেজারকে আটক করার পর মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। মুক্তি পাওয়ার পরপরই তার ব্যবসা আবার শুরু করেন। তিনি সেই আইটেম নম্বর ৪০ (কোকেনের সাইড অর্ডার) বিক্রি শুরু করেছিলেন। এরপর তদন্তকারীরা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে থাকে এবং তদন্ত চালানোর কয়েক সপ্তাহ পরে প্রায় ১৫০ জন কর্মকর্তা মিলে পশ্চিম জার্মানিতে এই মাদকচক্রকে আটক করতে সক্ষম হন। ওই অভিযানে ২২ বছর বয়সী একজন প্রধান সন্দেহভাজনসহ আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ব্যবসার স্থান এবং বাড়িতেও অভিযান চালিয়ে আরো ১২ সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানের সময় পুলিশ মনচেনগ্লাদবাখ এবং সোলিংজেনে যথাক্রমে ৩০০ এবং ৬০টি গাছপালাসহ দুটি গাঁজার বাগানের সন্ধান পায়। কাটাকাটির জন্য ছুরি, সেইসঙ্গে নগদ টাকা এবং দামী ঘড়িও খুঁজে পেয়েছে। বিদেশে পালানোর চেষ্টা করার সময় পিৎজারিয়ার ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং হেফাজতে নেওয়া হয়। জার্মান গোপনীয়তার নিয়ম অনুসারে সন্দেহভাজনদের কারও নাম প্রকাশ করা হয়নি। মেনুতে বিশেষ এই আইটেম নম্বর ৪০-এর জন্য পিৎজারিয়ার কত টাকা নিত, তা পুলিশ জানায়নি।
সূত্র: সিএনএন