আজ: সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   | সময়: রাত ৪:১৮ |

কুয়াকাটায় রাস লীলা উদযাপনে সৈকতে পূন্যার্থীদের ঢল ।

 ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি, সোবাহান  ;

ধুয়ে মুছে যাবে সকল জাগতিক পাপ এ বিশ্বাসে পটুয়াখালীর সাগরকন্যা কুয়াকাটায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রতিবছরের মত এবারও রাসলীলা। 

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম এ ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই সমুদ্র সৈকতে ভীড় জমিয়েছে হাজারো নারী পুরুষ।

সন্ধ্যায় কুয়াকাটার শ্রী শ্রী রাধাকৃঞ্চ মন্দিরে ভগবানকে আমন্ত্রন, মঙ্গল ঘট স্থাপন, সন্ধ্যা আড়তি, আলোচনা সভা এবং ভক্তদের প্রসাদ বিতরন করে । রাতভর চলছে সঙ্গীতানুষ্ঠান, ভাবগত পাঠ ও মাহনাম কীর্তন। শুক্রবার দিন এবং রাতে চলছে অনেক ধরনের অনুষ্ঠান, শনিবার ভোররাতে পূন্যস্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ রাস উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। তবে পূর্নিমা চলমান থাকায় আজ ভোরে মতুয়া সহ অনেক হিন্দু সম্প্রদায় গঙ্গা স্নান সম্পন্ন করেছেন। সৈকতে আগত পূন্যার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাঠে কাজ করছে বিপুল সংখ্যক আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।

টাঙ্গাইল থেকে আসা পুন্যার্থী বাবু শুসীল বলেন, এ বছর রাসমেলায় খুব ভালো লাগলো, আমাদের নিরাপত্তার জন্য অনেক প্রশাসন দেখা গেছে। তবে কলাপাড়া, মহিপুর, -কুয়াকাটা সড়কটি ভালনা, এটা জরুরী মেরামত করা উচিত।

ষ্পীডবোট ব্যবসায়ী মোঃ আবুবকর বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে অনেক লোকের আগমন, প্রতি বছরের চেয়ে এ বছর লোক অনেক বেশি হয়েছে।

হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, শুক্রবার থেকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শত বছর ধরে চলে আসা রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান৷ দুদিনব্যাপী রাস মেলা উপলক্ষে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকের ঢল নেমেছে। 

মনেহয় কুয়াকাটার কোন হোটেল ফাকা নেই।

কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ জোনের এসপি আবুল কালাম আজাদ জানান, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শত বছর ধরে চলে আসা রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নানে আগত পর্যটক ও পন্যার্থিদের জন্য নিরাপত্তা জোরদার করেছি।

 সর্বক্ষণিক টুরিস্ট পুলিশ নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক ও কলাপাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কৌশিক আহমেদ জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শত বছর ধরে চলে আসা রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান উপলক্ষে আমরা ধারণা করছি দুই থেকে তিন লক্ষাধিক লোকের সমাগম হয়েছিল। কুয়াকাটায় পূণ্যস্নানে আগত পূণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা, উপজেলা ও পৌর প্রশাসনের সমন্বয়ে একটি নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও সার্বক্ষণিক মহিপুর থানা পুলিশ,বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, টুরিস্ট পুলিশ এবং গ্রাম পুলিশসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top