আজ: সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   | সময়: রাত ৪:২৬ |

জাপানে নির্বাচন আজ

জাপানের সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তের প্রচার-প্রচারণায় গতকাল শনিবার ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণে ব্যস্ত সময় পার করেন নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা। তবে মতামত জরিপে দেখা যাচ্ছে বর্তমান ক্ষমতাসীন জোট সরকার এই নির্বাচনে পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না-ও পেতে পারে। খবর এএফপির। যদি তা হয় তবে সেটি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) জন্য ২০০৯ সালের পর সবচেয়ে খারাপ ফলাফল বয়ে আনবে। আর তা প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার জন্যও হবে বড় ধরনের আঘাত। ট্রেন ভ্রমণের পাশাপাশি ৭০ দশকের পপ আইডলের ভক্ত ইশিবা জাহাজ ও উড়োজাহাজের মডেল তৈরি করতে ভালোবাসেন আর মাত্র গত মাসেই তিনি ক্ষমতার আলোতে এসেছেন এলডিপির হাত ধরে। এই দলটি গত প্রায় সাত দশক ধরে জাপানের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত। দলের অভ্যন্তরীণ প্রতিযোগিতা শেষে ৬৭ বছর বয়সী সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিগেরু ইশিবা ক্ষমতায় আসেন ১ অক্টোবর। ক্ষমতায় আসার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই ইশিবা ২৭ অক্টোবর আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনের ঘোষণা দেন ‘নতুন জাপান’ তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে। ক্ষমতায় এসে ইশিবা প্রতিশ্রুতি দেন হতাশাগ্রস্ত গ্রামীণ অঞ্চলগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করার এবং নমনীয় কর্মঘণ্টা চালুর মাধ্যমে জাপানের ক্ষয়িষ্ণু জনসংখ্যার সংকট মোকাবিলার মাধ্যমে জনগণের শান্তির জন্য জরুরি অবস্থা প্রণয়নের। তিনি তার মন্ত্রিসভায় দুজন নারীকেও অন্তর্ভুক্ত করেন। গত শুক্রবার ইয়োমিউরি শিম্বুন পত্রিকার জনমত জরিপ এই ধারণা দিয়েছে, এলডিপি এবং তাদের জোটের অংশীদার কোমেইতো নিম্নকক্ষের জন্য প্রয়োজনীয় ২৩৩টি আসন না-ও পেতে পারে। আর এর অর্থ হচ্ছে ইশিবাকে তার জোট সরকারের জন্য আরও দল খুঁজতে হবে। স্থানীয় পত্রিকাগুলো এটাও বলছে, যে শিগেরু ইশিবা হয়তো পদত্যাগও করতে পারেন। আর যদি তা হয় তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানে তিনিই হবেন সবচেয়ে কম সময়ের প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে জাপানি গণমাধ্যমকে ইশিবা বলেন, ‘পরিস্থিতি খুবই জটিল।’ বেশ কিছু জেলায় এলডিপি প্রার্থীরা দেশটির কনস্টিটিউশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (সিডিপি) প্রার্থীদের সঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পড়েছেন। সিডিপি হলো দেশটির পার্লামেন্টের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল। আর এর নেতৃত্বে আছেন সাবেক মন্ত্রী ইয়োশিহিকো নোডা। গতকাল শনিবার ইয়োশিহিকো নোডা এক সমাবেশে বলেন, এলডিপির নীতিগুলো হলো দ্রুত বাস্তবায়নের যার জন্য তাদেরকে নগদ অর্থ দিতে হয়, আর যারা অর্থ খরচ করতে পারে না তাদেরকে অবহেলা করা হয়। এই ধরনের নীতির অবশ্যই পরিবর্তন হওয়া উচিত।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top