গ্রীস্মমন্ডলীয় বাড় ট্রামির আঘাতে ফিলিপাইনে কমপক্ষে ২৬ নিহত হয়েছে। এ ছাড়া এক লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে বলে কর্মকর্তারা গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে। ট্রামি স্থানীয়ভাবে তীব্র গ্রীষ্মমন্ডলীয় বঝড় ‘ক্রিস্টিন’ নামে পরিচিত। ফিলিপাইনের লুজোনের প্রধান দ্বীপে ভারী থেকে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের ফলে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধস হয়েছে। আবহাওয়া সংস্থা আবহাওয়া বুলেটিনে জানিয়েছে, ঘণ্টায় ৯৫ কিমি (৫৯ মাইল প্রতি ঘন্টা) সর্বোচ্চ বাতাসের গতি নিয়ে ঝড়টি পশ্চিম দিকে কর্ডিলেরার উত্তরাঞ্চলীয় অঞ্চল পেরিয়ে দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে চলে যায়। দেশটির কিছু উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশের জন্য ভারী থেকে তীব্র বৃষ্টিপাত, বন্যা, ভূমিধস এবং বঝড়বৃষ্টির সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে ঝড়ের কারণে বেশিরভাগ মৃত্যু হয়েছে। ভারী বৃষ্টি ও বন্যার আশঙ্কায় সরকার দোকান ও স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। সিভিল ডিফেন্স অফিস জানিয়েছে, এক লাখ ৬৩ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। বন্যার পানি বাড়িতে উঠে গেলে তারা ঘর-বাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেসামরিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক জানিয়েছে, ঝড়ের কারণে সারা দেশে প্রায় ১২টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক টানা দ্বিতীয় দিনের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন এবং আর্থিক কার্যক্রম বাতিল করেছে। ফিলিপাইনে সাধারণত বছরে গড়ে ২০টি গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় রেকর্ড করা হয়, যার ফলে প্রায়ই ভারী বৃষ্টিপাত, প্রবল বাতাস এবং মারাত্মক ভূমিধস হয়।
সূত্র: রয়টার্স