নিজস্ব সংবাদদাতা :
ঢাকাস্থ সদর দক্ষিন-লালমাই উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রমনা চাইনিজ রেস্টুরেন্টে ঢাকাস্থ সদর দক্ষিন-লালমাই বিএনপির উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভায় এম ওয়াহিদ মজুমদার কে আহবায়ক ও মজিবুর রহমান রিপন কে সদস্য সচিব করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটির গঠন করা হয়।
সদর দক্ষিন উপজেলা ঐক্য সংহতি পরিষদের সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী ফোরামের আহবায়ক এম ওয়াহিদ মজুমদারের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা আইন কলেজের সাবেক জিএম সহিদুল ইসলাম রিয়াজের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি মনিরুল হক চৌধুরীর প্রাক্তন এপিএস ছরওয়ারে আলম, ঢাকাস্থ ঐক্য সংহতি পরিষদের সাবেক সদস্য সচিব মজিবুর রহমান রিপন, জাতীয়তাবাদী ফোরামের যুগ্ম আহবায়ক ইসমাইল হোসেন, ঐক্য সংহতি পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম মোল্লা, সদর দক্ষিন উপজেলা বিএনপির সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সাইদুর রহমান খন্দকার প্রদীপ, সদর দক্ষিন উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি তাহমিনা আক্তার, ঐক্য সংহতি পরিষদের নেতা শহিদুল ইসলাম, শাহ আলম সহ অনেকে।
এসময় নেতারা বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্মম নির্যাতনের শিকার বিএনপি সহ এদেশের জনগন। ছাত্র জনতার গণ আন্দোলনের মাধ্যমে এই দেশের জনগণ বাক স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে। গণতন্ত্রের অধিকার ফিরে পেয়েছে। যাদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আগামীতে বিএনপির রাজনীতিকে শিক্ষা ও সততা কে প্রাধান্য দিয়ে নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে হবে, শহীদ জিয়ার ১৯ দফা এবং দেশ নায়ক তারেক রহমান ৩১ দফা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আগামী দিনে বিএনপির রাজনীতি হবে শহীদ জিয়ার আদর্শ সততা ত্যাগের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। বিএনপির সকল নেতা কর্মীকে এলাকার জনগনের পাশে দাঁড়াতে হবে। সকল প্রকার চাঁদাবাজি, মাস্তানি এবং অপকর্ম থেকে দূরে থাকতে হবে। পতিত স্বৈরাচার এবং তার দোসররা যাতে কোন ভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সেই জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এলাকার সকল বিএনপি নেতাকর্মীকে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে এম ওয়াহিদ মজুমদার বলেন, আমাদের ঢাকাস্থ সংগঠনের নেতৃত্বে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা বাস্তবায়ন করেছি। নির্বাচনী এলাকা পুনর্বহাল আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছি। ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতে এলাকার উন্নয়নে সবসময় সদর দক্ষিণ-লালমাইবাসীর সাথে আছি। আমরা আগামী দিনের রাজনীতি শহীদ জিয়ার আদর্শ ভিত্তিক রাজনীতি করার জন্য চেষ্টা করব। আমরা সবাই বিএনপি করি, এই দলের কোন বিভক্তি থাকা উচিত না। দীর্ঘ ১৬ বছর পর আমাদের সামনে যে সুযোগ এসেছে সেটাকে কাজে লাগাতে হবে, বিএনপির আদর্শ উদ্দেশ্য জনগণকে জানাতে হবে, জনগনের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমরা খুব শীঘ্রই জননেতা মনিরুল হক চৌধুরীর সাথে এলাকার সামাজিক রাজনীতি নিয়ে মতবিনিময় করব। প্রত্যেক ইউনিয়নে স্থানীয় ইউনিয়ন কমিটির সাথে সমন্বয় করে রাজনৈতিক কর্মশালার আয়োজন করবো। ছাত্র জনতার অন্দোলনে সায়মা চৌধুরীর ঐতিহাসিক ভূমিকার জন্য তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
