আব্দুল কাইয়ুম খান, :
ঢাকা জেলার খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত ও,এম,এস কর্মসূচি আওতায় মোট ৭০ টি ট্রাক ও ১২১ টি দোকানে চাউল ও আটা ন্যায্য মূল্য বিক্রি করা হয়। ট্রাকগুলো শহরের বিভিন্ন স্পটে চাউল ও আটা বিক্রি করে থাকে। সরজমিনে দেখা যায় সকাল ৬টা থেকে নির্ধারিত স্পটে লোকসমাগম শুরু হয়। সকাল ৯ টায় চাউল ও আটা নিয়ে ট্রাক আসার কথা থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ট্রাক আসে সাড়ে দশটার পরে। এরপর প্রসেসিং করতে করতে বেলা ১১ টার পর চাউল ও আটা বিক্রি শুরু হয়ে। সাধারণত নিম্নআয়ের মানুষেরাই লম্বা লাইনে ও এম এস কেনার জন্য কখনো রোদ কখনো বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। দুপুর ২ টার পর শুরু হয় না না কারসাজি ট্রাকে শুধু আটা আছে চাল শেষ হয়ে গেছে এমন কথা প্রায় বলতে শোনা যায় ডিলারের লোকদের। দেরিতে আসা লোক গুলো চাউল না পেয়ে কেউ শুধু আটা নিয়েই ফেরে আবার কেউ না নিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে এসব চাউল ও আটা কোথায় যায় তা আর কেউ জানে না এমন সব অভিযোগ করতে থাকে ভুক্তভোগীরা ।২২ শে অক্টোবর এমন ঘটনা ঘটে দক্ষিনগাঁও ব্রিজ দক্ষিণগাঁও স্পটে। এখানে ডিলার তন্ময় বিশ্বাসের লোকজন ট্রাক সেলস করছিল । দুপুর দুইটার দিকে লোকজনকে বলে চাউল শেষ হয়ে গেছে। এমন সময় জনতা ট্রাকের আটার বস্তার নিচে চাউলের বস্তা খুঁজতে থাকে। পরবর্তীতে আটার বস্তার নিচে থেকে ৩০ বস্তা চাল খুঁজে পায়। ভুক্তভোগীরা সুত্রে এমন চিত্র পাওয়া যায় বিভিন্ন স্পটে। ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায় সরকারি ও এম এসের চাউল বিতরণে ট্রাক গুলা নির্ধারিত সময় আসলে ও বিক্রিতে অনিয়ম না করলে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য সরকারের উদ্যোগ কাজে আসবে। তারা আরো জানায় অবিক্রিত আটা ও আটার বস্তার নিচে থাকা চাউল পরবর্তীতে ডিলাররা তাদের নির্দিষ্ট দোকানে বিক্রি করে। কর্মকর্তারা যথাযথ মনিটরিং করে না। এ বিষয়ে ঢাকা চিফ রেসনিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান ১৯১ টি পয়েন্ট তদারকি করেন মাত্র ৭৫ জন কর্মকর্তা, ফলে কিছু অনিয়ম হতে পারে। জনবলের ঘাটতি পূরণ হলে এ সমস্যা সমাধান হবে। এছাড়া আমাদের নিয়মিত মনিটরিং রয়েছে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।