ভারতের সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র পুরস্কার দাদাসাহেব ফালকে পেতে যাচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী।
গতকাল সোমবার এক টুইটে এই সুখবর শোনান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এই পুরস্কার প্রাপক হিসাবে তার নাম ঘোষণা হওয়ায় আপুত বলে জানান ‘মহাগুরু’। এমন খবরের প্রতিক্রিয়ায় মিঠুন বললেন, ‘কখনও ভাবিনি ফুটপাতের একটা ছেলে এত বড় সম্মান পাবে। আমি কলকাতার অন্ধ গলি থেকে উঠে এসেছি। মুম্বাইয়ের রাস্তার ফুটপাতে থেকেছি। কখনও কল্পনা করতে পারিনি, এতবড় একটা সম্মান পাব। বিশ্বাস করুন, আমি আক্ষরিক অর্থেই হতবাক। আমি হাসতেও পারছি না, কাঁদতেও পারছি না। এমন একটা সম্মান দিলে কে কী বলবে, কেউই কিছু বলতে পারে না। আমি এই পুরস্কার আমার পরিবার ও বিশ্বজুড়ে থাকা আমার অগণিত ভক্তকে উৎসর্গ করছি।’
মিঠুনের কথায়, ‘আমি শুধু আমার সেই অনুরাগীদের বলতে চাই, যারা একেবারেই আর্থিকভাবে শক্তিশালী নয় যে, আমি যদি এখানে পৌঁছাতে পারি, তাহলে আপনারাও পারবেন।’ এর আগে বাঙালি হিসাবে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পেয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এবার এই পুরস্কার যাচ্ছে আরও এক বাঙালির কাছে। আগামী ৮ অক্টোবর ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে মিঠুন চক্রবর্তীর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভারত সরকার কর্তৃক তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মভূষণে ভূষিত হয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। ১৯৭৬ সালে মৃণাল সেনের ‘মৃগয়া’ ছবির হাত ধরে সিনেমার দুনিয়া প্রথম পা রাখেন মিঠুন চক্রবর্তী। প্রথম ছবিতে অভিনয়ের পরই অসামান্য অভিনয় নৈপুণ্যের জন্য তিনি সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি বলিউডে পা রাখেন। ১৯৮২ সালের ডিস্কো ড্যান্সার ছবিতে ‘জিমি’র ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, যা ভারত এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের বক্স অফিসে একটি বড় সাফল্য পেয়েছিল।