আজ: সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   | সময়: রাত ৪:১১ |

বুড়িচংয়ে বন্যার পানি কমার সাথে সাথে ভেসে উঠছে রাস্তাঘাট ও বসতবাড়ির ধ্বংসস্তূপ

মোঃ এনামুল হক,বুড়িচং প্রতিনিধি
গোমতী নদীর বাঁধ ভাঙ্গার পর পানিতে তলিয়ে গেছে কুমিল্লা বুড়িচং- ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শত শত গ্রাম। তীব্র পানির স্রোতে কেড়ে নেয় মানুষের বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট। গত কয়েকদিন ধরে কমছে বন্যার পানি। বন্যার পানি কমার সাথে সাথে ভেসে উঠছে রাস্তাঘাট ও বসতবাড়ির ধ্বংসস্তূপ। ভয়াবহ বন্যার পানি নেমে গেলেও বুড়িচংয়ে রেখে গেছে রাস্তাঘাট ও বসতবাড়ির ব্যাপক ক্ষতচিহ্ন।
গতকাল ২ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে বন্যা কবলিত এলাকা বুড়িচং উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, প্রায় অধিকাংশ বসতবাড়িতে এখনো পানি। ধীরগতিতে পানি কমায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বুড়িচংয়ের বন্যার্তরা। পানি কমায় মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরলেও এসব এলাকার সড়ক ও বাড়িঘরে ভেসে উঠছে বন্যার ক্ষত। অন্যদিকে ত্রানসামগ্রী পেলেও চরম ভোগান্তিতে দিন কাটাচ্ছে দুর্গত এসব বাসিন্দা।
কুমিল্লা-বুড়িচং উপজেলার ভরাসার, ইছাপুরা, বুড়বুড়িয়া, কালিকাপুর, ভবানীপুর বাকশিমূল, যদুপুর, জগতপুর, সাদকপুর, শিবরামপুর সহ অধিকাংশ সড়ক ভেঙে খাদে পরিণত হয়েছে। এ উপজেলার বেশিরভাগ গ্রামীণ সড়ক ঢলের পানিতে বিলীন হয়ে গেছে।
বন্যাদুর্গত এলাকার অনেক আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়ক বিধ্বস্ত হয়েছে। ভেঙে গেছে কাঁচা ঘর। পাকা ঘরের আসবাবপত্রসহ বসবাসের নানা সরঞ্জামও পানিতে নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্রীজ-কালভার্ট। এছাড়া কৃষি ও মৎস্য, প্রাণী সম্পদেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভেসে গেছে ফসলি জমি, মাছ, মুরগি ও গরু-ছাগলের খামার। এতে অনেক কৃষক ও খামারি পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন।
এদিকে বন্যার পানি যতই কমে আসছে দুর্গত এলাকায় পানিবাহিত রোগবালাই বাড়ছে। ডায়রিয়া, ইনফেকশন, চর্মরোগসহ জেলার বন্যাকবলিত এলাকার অন্তত আট হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top