—-মাসুদ সাঈদী
আলী হোসেন বাবুল:
পিরোজপুর-১ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনিত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী বলেছেন, আওয়ামী লীগের সব স*ন্ত্রা*সী, চাঁদাবাজ ও দেশের অর্থ বিদেশে পাচারকারী নেতা ও দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। মুজিববাদী রাজনীতি এদেশে নিষিদ্ধ করতে হবে যাতে এদেশে আর কখনো ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। কারন মুজিববাদ ও ফ্যাসিবাদ একই সূত্রে গাঁথা।দেশপ্রেমিক রাজনীতিকরা যখন রাষ্ট্র গঠনের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছেন, তখন দিল্লি বসে শেখ হাসিনা দেশের বিরুদ্ধে ষড়*যন্ত্র করছেন।
তিনি আজ রোববার কুমিল্লার দাউদকান্দির ইলিয়টগঞ্জ রাজেন্দ্র বিশ্বনাথ হাই স্কুল মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ইলিয়টগঞ্জ শাখা কর্তৃক আয়োজিত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে শহীদদের মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন আমীর মোঃ দেলোয়ার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে ও ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন সেক্রেটারী ইঞ্জিনিয়ার মো: শিমুল হাজারীর সঞ্চালণায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে শহীদদের মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদে সদস্য ও কুমিল্লা মহানগর আমীর কাজী দ্বীন মোহম্মদ, কুমিল্লা জেলা উত্তর আমীর অধ্যাপক আব্দুল মতিন, কুমিল্লা জেলা উত্তর সেক্রেটারী সাইফুল ইসলাম শহীদ, দাউদকান্দি উপজেলা আমীর মনিরুজ্জামান বাহলুল, কুমিল্লা জেলা উত্তরের মজলিসে শুরা সদস্য মাওলানা খন্দকার আবুল বাশার, চান্দিনা উপজেলা আমীর মাওলানা মো: মিজানুর রহমান, মুরানগর উপজেলা আমীর আ ন ম ইলিয়াস উদ্দিন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কুমিল্লা জেলা পশ্চিমের সভাপতি জিসান আহমেদ প্রধান।
মাসুদ সাঈদী তার বক্তব্যে আরও বলেন, আমাদের পরবর্তী প্রন্জন্মকে যেন বলতে পারে যে, আমরা একাত্তর ও চব্বিশের শহীদদের র-ক্তে-র বিনিময়ে আমরা সুন্দর এই সোনার বাংলাদেশ পেয়েছি। একই সাথে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অসীম সাহস নিয়ে আজীবন লড়াই করা বীর যোদ্ধা আল্লামা সাঈদীসহ ভারতীয় প্রেসক্রিপশনে ট্রাইবুনালে অন্যায়ভাবে ফাঁসি দিয়ে হ*ত্যা করা বিশ্ববিখ্যাত জামায়াতের সকল শীর্ষনেতা এবং চব্বিশের সকল শহীদদেরকে জাতীয় বীর হিসেবে ঘোষনা করতে হবে। চব্বিশের শহীদের প্রত্যেকের পরিবার থেকে অন্ততঃ একজনকে সরকারী চাকরী দিতে হবে। আহত সকলকে আজীবন চিকিৎসা সুবিধাসহ এককালীন অর্থনৈতিক সহযোগিতা করতে হবে।