আর এইচ পলাশ, চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঘোষ, অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে উপজেলা সাব-রেজিষ্টার রায়হান হাবিবের অপসারণের দাবীতে সীতাকুণ্ড দলিল লেখক সমিতি সংবাদ সম্মেলন করেন।
শনিবার সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে সকাল সাড়ে ১১টায় সীতাকুণ্ড উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সেক্রেটারী আলহাজ্ব সাইফুল্লাহ কামাল তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, উপজেলা সাব-রেজিষ্টার রায়হান হাবীব রেজিষ্ট্রি অফিসে যোগদানের পর থেকে জনগণের উপর বিভিন্ন অজুহাত তুলে ঘুষ বাণিজ্যের নীল নকশা তৈরী করেন। তিনি দলিল লেখকগণকে প্রত্যেকটি দলিল রেজিষ্ট্রির জন্য ২০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দাবী করেন। সে দাম্ভিকতার সহিত বলেন, আমি ছাত্রলীগের ক্যাডার ছিলাম এবং ৮০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে এসেছি। তাছাড়া পাওয়ার মূলে আংশিক জায়গা বিক্রি করলে দলিলের মূল্যের উপর ৭% টেক্স দিতে হবে, না হয় রেজিষ্ট্রি হবে না। পরে দেন দরবার করে ২ ভাগের ১ ভাগ দিলে দলিল রেজিষ্ট্রি করে দেন। সর্বশেষ গত ৭ অক্টোবর দলিল লেখক মোঃ হারুন অর রশিদ তার হেনেস্তার শিকার হন। ঐদিন হারুন ওয়ারিশ দলিল রেজিষ্ট্রি করতে গেলে সাব-রেজিষ্টার ঘুষ দাবী করে। এতে সে ঘুষ দিতে অপারগতা স্বিকার করলে তিনি ও অফিস কর্মকর্তা টিসি মোহরার শহীদুল্লাহ তার লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দেন। তাই আমরা গত ২১ অক্টোবর থেকে সাব-রেজিষ্টারের ঘুষ দূর্নীতি ও দলিল লেখকগণকে হেনেস্তার প্রতিবাদে তার অপসারণ চেয়ে কার্যালয়ের সামনে আমাদের মানববন্ধন চলে।
এদিকে অভিযুক্ত সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ রায়হান হাবীব বলেন, আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এছাড়া হারুনের দলিলটি তার মুসাবিদাকৃত নয় একজন আইনজীবির এবং স্থনীয় একজন সাংবাদিক দলিলটির পক্ষ। আইনজীবি এবং দলিলটির পক্ষ গনের মাধ্যমে নিবন্ধন আইনের আলোকে পুনরায় উপস্থাপন করতে বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার খাস কামরায় এসে আমার সাথে দুর্ব্যবহার করেন এবং এজলাস কক্ষে স্থায়ী কর্মচারীদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্হিত ছিলেন, সীতাকুণ্ড দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ রফিক উদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ারুল ইসলাম,
এছাড়া বেলাল আহমেদ, ফারুক হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন সাহেদ, মোস্তাকিজুল হাকিম, জাহেদ হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, মোঃ সুজন, নিপুন কুমার সেন অন্যান্যরা।