লেবাননে নিজেদের বর্বর হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। গত ২৪ ঘণ্টায় লেবাননজুড়ে ইসরায়েল বাহিনীর বিমান হামলায় ১০৫ জন নিহত হয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরো বলেছে, গত দুই সপ্তাহে ১ হাজারের বেশি লেবানিজ নিহত এবং ৬ হাজার আহত হয়েছে। সরকার বলেছে দেশটির জনসংখ্যার এক পঞ্চমাংশ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। মন্ত্রণালয় জানায়, রাজধানী বৈরুতের কোলা এলাকায় ভয়াবহ বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকাটিতে ১০৫ জন নিহত হয় এবং ২৯ জন আহত হয়েছে। গত রোববার হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালানো হয়। রাজধানী বৈরুত, বেকা উপত্যকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিমান থেকে বোমা ফেলা হয়েছে। এসব হামলার লক্ষ্য ছিল হিজবুল্লাহর রকেট উৎক্ষেপণব্যবস্থা ও গোলাবারুদের সংরক্ষণাগার ধ্বংস করা। এতে নতুন করে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ পর্যায়ের আরেক নেতা নাবিল কাওউক নিহত হয়েছে বলে দাবি ইসরায়েলের। এর আগে শুক্রবার ইসরায়েলি হামলায় লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হন। এদিকে জানা গেছে, লেবাননে ভুল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি হিসেবে সীমান্তে সামরিক উপস্থিতিও বাড়াচ্ছে ইসরায়েল। লেবাননের রাজধানীকে আগে ইসরায়েলি আক্রমণ থেকে নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে দেখা হতো। তবে সরাসরি বৈরুত শহরে বোমা হামলার ঘটনায় বোঝা যাচ্ছে দেশের অন্যান্য অংশের মতো বর্তমানে রাজধানী শহরও ইসরায়েলি হামলার অধীনে রয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, ইসরাইলের এ হামলার কারণে লেবানন থেকে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ সিরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে। সংস্থাটির প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্দি এক এক্স পোস্টে জানান, হামলার কারণে লেবাননের অভ্যন্তরেও দুই লাখের বেশি মানুষ বাচ্যুত হয়েছেন। লেবানন ও সিরিয়া সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে জাতিসংঘের ত্রাণ কার্যক্রম চলছে। পাল্টা হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহও। ইসরায়েলি বাহিনীর ভাষ্যমতে, দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তিবেরিয়াস অঞ্চলে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে হিজবুল্লাহ। তবে এসব ক্ষেপণাস্ত্র উন্মুক্ত স্থানে পড়েছে বলে দাবি তাদের।
অন্যদিকে, পশ্চিম ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ হামলায় কমপক্ষে চারজন প্রাণ হারিয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স