(হিলি, দিনাজপুর) আজ বুধবার থেকে টানা ৬ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে এ অজুহাতে দিনাজপুরের হিলিতে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে কেজিতে ১৫ টাকা। এদিকে একদিনে ৩৫ ট্রাক কাঁচা মরিচ আমদানি হওয়ায় কেজিতে দাম কমেছে ৪০ টাকা। পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলুনায় আমদানি কম হওয়ায় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩ টায় হিলি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক দিন আগে আমদানিকৃত পেঁয়াজ মানভেদে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ তা কেজিতে ১৫ বাড়িয়ে ৮৫ থেকে ৯০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর দেশীয় পেঁয়াজও কেজিতে ১০ টাকা বাড়িয়ে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সোমবার খুচরা বাজারে আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ২৪০ টাকা কেজি দরে। গতকাল মঙ্গলবার কেজিতে ৪০ টাকা কমিয়ে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা জানান, সম্প্রতি ভারতের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ ও রপ্তানি মূল্য প্রতি মেট্রিকটন ৫৫০ মার্কিন ডলার থেকে ১৪৫ ডলার কমিয়ে ৪০৫ ডলার নির্ধারণ করে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এরপর থেকে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। বর্তমানে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন পেঁয়াজ আমদানি হলেও চাহিদার তুলুনায় কম আমদানি হওয়ায় খুচরা বাজারে দাম বাড়ছে। তবে পুজার আগে পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভবনা নেই দাম আরও বাড়তে পারে। হিলি বাজারের একজন পেঁয়াজ বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, কয়েক দিনে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রচুর পরিমান পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। তার পর কেন যে দাম বাড়ছে তা আমাদের জানা নেই। গত সোমবার সন্ধ্যায় বন্দরের পাইকারী বাজারে মানভেদে ৯০ থেকে ৯২ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। আমার একদিন আগে পেঁয়াজ কিনা ছিল সেই পেঁয়াজ আমি বিক্রি করছি ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে। আর আমার পেঁয়াজের থেকে একটু ভালো মানের তারা বিক্রি করছেন ৯০ টাকা কেজি দরে। যা একদিন আগে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে হলেও আজ কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বন্দরের পাইকারী বাজারে আমরা কম দামে কিনতে পারলে কম দামেই বিক্রি করে থাকি। পচনশীল পেঁয়াজ বন্দরে যদি ৮৭ টাকা কেজি দরে কিনলে রাতের মধ্য অনেক পঁচা পেঁয়াজ বের হয়। বস্তা প্রতি ৩ থেকে ৫ কেজি পঁচা পেঁয়াজ বের হয়। এতে আমাদেরও লোকসান হয়। আমরা দুই এক টাকা লাভ রেখে পেঁয়াজ বিক্রি করে থাকি। হিলি বাজারের খুচরা কাঁচা মরিচ বিক্রেতা শেখ বিপ্লব বলেন, কাঁচা মরিচ বিক্রি করেছি ২৪০ টাকা কেজি দরে। বন্দর দিয়ে প্রচুর প্ররিমান কাঁচা মরিচ আমদানি হওয়াতে কেজিতে ৪০ টাকা কমে আজ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। টানা অতিরিক্ত ও বৃষ্টি হওয়াতে কাঁচা মরিচের ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় দেশীয় কাঁচা মরিচ এখন পাওয়া যাচ্ছেনা। তাই আমরা এখন আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ বিক্রি করছি। হিলি কাস্টমস্ সূত্রে জানা যায়, চলতি সপ্তাহে ৩ দিনে ভারতীয় ৪৫ টি ট্রাকে ১ হাজার ২৪৯ মেট্রিকটন ৬০০ কেজি পেঁয়াজ আমদানি ও গত সোমবার একদিনে ভারতীয় ৩৫ টি ট্রাকে ৩০৮ মেট্রিকটন ৯৭০ কেজি কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।