প্রতিবেশী দেশ রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া গত দুই বছরে নিজেদের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক দৃঢ় করেছে। গত জুনে একটি সামরিক চুক্তি করে দেশ দুটি। চুক্তি অনুযায়ী কোনো একটি দেশ আক্রমণের শিকার হলে অপর রাষ্ট্র আক্রান্ত রাষ্ট্রটিকে সম্ভাব্য সব উপায়ে সামরিক সহযোগিতা প্রদান করবে। ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোকে সহযোগিতার অংশ হিসেবে রাশিয়ায় তিন হাজার সেনা পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার আইনজীবীরা দেশটির গোয়েন্দাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমকে এমন তথ্য জানায়। ডিসেম্বরের মধ্যে আরো ১০ হাজার সেনা মস্কো যাওয়ার কথা রয়েছে বলেও জানায় তারা। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আগামী সপ্তাহে ব্রাসেলসে ন্যাটোর সদর দপ্তরে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিরা। সেখানে তারা উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে কী ধরনের সহযোগিতা করেছে সে বিষয়ে প্রাপ্ত তথ্যগুলো জানাবে। দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দারা জানান, আগস্ট ২০২৩ সাল থেকে উত্তর কোরিয়া রাশিয়ায় ১৩ হাজার কনটেইনার আর্টিলারি, মিসাইল এবং অন্যান্য সাধারণ অস্ত্র পাঠিয়েছে। কোরিয়ার কূটনীতিককে তলব
ইউক্রেনে হামলায় রাশিয়াকে সহযোগিতার অভিযোগের মুখে বার্লিনে নিযুক্ত উত্তর কোরিায়ার কূটনীতিককে তলব করেছে জার্মানি। মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার চার্জ দি অ্যাফেয়ার্সকে তলব করে পররাষ্ট্র দপ্তর। তার আগে ইউক্রেনে মোতায়েনের জন্য রাশিয়াতে সেনা পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া গণমাধ্যমে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। ওই প্রতিবেদনের জের ধরেই উত্তর কোরিয়ার কূটনীতিককে তলব করে জার্মানি। জার্মানির দাবি, রাশিয়াকে উত্তর কোরিয়ার এমন সহযোগিতা ইউরোপ এবং জার্মানির নিরাপত্তা বিঘ্নিত করবে। সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, উত্তর কোরিয়ার সেনা ইউক্রেনে মোতায়েন করা হয়েছে বা ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় সেনা দিয়ে সহযোগিতা করছে উত্তর কোরিয়া, এমন খবর যদি সঠিক হয়, তাহলে তা হবে মারাত্মক এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। পোস্টে বলা হয়, রাশিয়াকে পিয়ংইয়ংয়ের সমর্থন ‘জার্মানির নিরাপত্তা এবং ইউরোপের শান্তির জন্য সরাসরি হুমকি।’