আজ: সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   | সময়: সকাল ১০:০১ |

আজারবাইজান সফরে যাচ্ছেন ড. ইউনূস

জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর প্রভাব মোকাবিলায় করণীয় নিয়ে আজারবাইজানের বাকুতে বসছে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলন। সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি আগামীকাল সোমবার (১১ নভেম্বর) আজারবাইজানের উদ্দেশে রওনা হবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, আগামী ১১-২২ নভেম্বরে পর্যন্ত আজারবাইজানের বাকুতে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলন। এ সম্মেলনে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তিন দিনের সফরে তিনি ১১-১৪ নভেম্বর আজারবাইজানে রাষ্ট্রীয় সফর করবেন। প্রধান উপদেষ্টার সোমবার আজারবাইজানের উদ্দেশে রওনা হ‌ওয়ার কথা রয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ বাকুতে নিজেদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরবে। আবার বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ অবশ্যই নিজেদের অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলোর পক্ষে কথা বলবে। যেহেতু প্রধান উপদেষ্টা যাবেন সেক্ষেত্রে সম্মেলনে বাংলাদেশের গুরুত্ব থাকবে, তেমনি বাংলাদেশের অ্যাজেন্ডায় ভালো উপাদান থাকবে। ধারণা করা হ‌চ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলা‌দেশ যে সমস্ত সমস‌্যার সম্মুখীন হ‌চ্ছে, সে‌টি তু‌লে ধরা হ‌বে স‌ম্মেল‌নে। এক্ষেত্রে সাম্প্রতিক সময়ে দেশের পূর্বাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যার কারণে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা তুলে ধরবে বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি তহবিল ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড’, প্যারিস চুক্তির তহবিল এবং জলবায়ু উদ্বাস্তুদের কথা তুলে ধরার সম্ভবনা রয়েছে। এ ছাড়া, উন্নত দেশগুলো থেকে সবুজ প্রযুক্তিতে সহায়তা চাইতে পারে বাংলাদেশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার পতনের পর গত ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। সরকার গঠনের পর ড. ইউনূস প্রথম বিদেশ সফর করেন যুক্তরাষ্ট্রে। প্রধান উপদেষ্টা নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেন। নিউইয়র্কের পর দ্বিতীয় বিদেশ সফরে কপ-২৯ সম্মেলনে যোগ দিতে আজারবাইজান যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। কূট‌নৈ‌তিক সূত্রগু‌লো বল‌ছে, প্রধান উপদেষ্টা জলবায়ু স‌ম্মেল‌নে যোগ দেওয়ার পাশাপা‌শি বাকু‌তে বি‌ভিন্ন দে‌শের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান‌দের স‌ঙ্গে বৈঠক এবং সৌজন‌্য সাক্ষাৎ করবেন। সবশেষ, ২০২৩ সালে কপ-২৮ সম্মেলন সংযুক্ত আরব আমিরাতে হয়। ২০২২ সালে কপ-২৭ মিশরের শার্ম এল-শেখে অনুষ্ঠিত হয়। ওই দুই সম্মেলনে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান অংশগ্রহণ করেনি। তবে ২০২১ সালে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে কপ- ২৬ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে কপ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। প্রসঙ্গত, কনফারেন্স অব দ্য পার্টিসের সংক্ষিপ্ত রূপ কপ। এটি বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত বিপর্যয় মোকাবিলায় জাতিসংঘের একটি উদ্যোগ। ১৯৯৫ সালে কপের প্রথম সম্মেলন হয়। ১৯৯৯ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে কপের জলবায়ু সম্মেলনে ‘জলবায়ু পরিবর্তন’ ইস্যুটি প্রথমবারের মতো সামনে আসে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top