ইতালির উপ-প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও সালভিনি বলেছেন, ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে সফল হলে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা উচিত।
ডানপন্থী লিগ পার্টির বিশিষ্ট এই নেতা আরো বলেছেন, যারা রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি স্থাপন করতে পারে, এই প্রচেষ্টার জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য।
শনিবার (৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে স্কাই নিউজ।
সালভিনি বলেন, ‘যদি কেউ ইউক্রেনে শান্তি আনতে পারে, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প), তার এই প্রচেষ্টার জন্য পুরস্কৃত হওয়া উচিত। যদি শান্তি পুনরুদ্ধার করা যায়, বিশেষ করে আলোচনার মাধ্যমে, তাহলে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার হবে এমন একটি অর্জনের উপযুক্ত স্বীকৃতি’।
ইউক্রেনের যুদ্ধ এখন তিন বছরের কাছাকাছি, কীভাবে এই যুদ্ধ থামবে এ নিয়ে সংকট চলছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে প্রচুর আর্থিক এবং সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসন। তবে জানুয়ারিতে ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে ক্ষমতাগ্রহণ করলে, এই দৃশ্যপট বদলে যেতে পারে। ইউক্রেনকে আগের মতো অকুণ্ঠ সমর্থন এবং সহায়তা দেওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলতেই হয়। কারণ, ট্রাম্প শুরু থেকেই যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এবং আলােচনার তাগিদ দিয়েছেন।
বর্তমান বাইডেন প্রশাসনহ পশ্চিমা সরকার প্রধানরা রাশিয়ান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের লড়াইকে সমর্থন করে চলেছেন। আর সালভিনি দীর্ঘস্থায়ী সামরিক সহায়তার সোচ্চার সমালোচক এবং সহিংসতা বন্ধ করার উপায় হিসাবে শান্তি আলোচনার পক্ষে। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান অর্জন শুধুমাত্র জীবনই বাঁচাবে না বরং বিশ্ব নিরাপত্তাকেও স্থিতিশীল করবে।
ট্রাম্পের অবস্থান ‘আমেরিকা সবার আগে’ বৈদেশিক নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা প্রায়শই বিদেশী সংঘাতে মার্কিন জড়িততা হ্রাস করা এবং প্রতিপক্ষের সাথে সরাসরি আলোচনার উপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানায়। এখন দেখার পালা, সামরিক সমর্থন বাদ দিয়ে আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পারেন কি না ট্রাম্প। তবে এখন পর্যন্ত ইউক্রেন সংঘাতের অবসানে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ অনিশ্চিত রয়ে গেছে।