আজ: সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   | সময়: দুপুর ২:১৯ |

উদ্বোধনের এক বছর পরেও চালু হয়নি জেলা মডেল মসজিদ।

জাবেদ আলি জীবন :

উদ্বোধনের এক বছর পরেও চালু করা হয়নি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মডেল মসজিদ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত পুরাতন কাচারী ভবনের পরিত্যক্ত জায়গায় মুসলিম ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জন্য নব নির্মিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মডেল মসজিদটি এখনো নামাজের জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি। নামাজ ঘর, ওজুখানা, সৌচাগার, পাঠাগার কিংবা মিলনায়তন কোনটার কাজই সমাপ্ত করা হয়নি। যার ফলে মুসল্লিরা নামাজ পড়তে কষ্ট হচ্ছে বলে জানা যায়।গত ৩০ অক্টোবর ২০২৩ সনে সারা দেশে একযুগে ৫০টি মসজিদ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন। সে সময় মডেল মসজিদটি পুর্ণাঙ্গভাবে নির্মিত না হলেও ২০২৪ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারণা শুরু করার প্রাক্কালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী মসিজদটি উদ্বোধন করার পায়তারা করেন। নামাজ পড়ার উপযোগী করা হয়নি বলে একাধিক মুসল্লী জানান, মডেল মসজিদটি উদ্বোধন হলেও এখন পর্যন্ত নামাজ পড়ার উপযোগ করা হয়নি। ফলে মসজিদের পাশে ছোট একটি টিনের ঘরে নামাজ পড়তে আমাদের কষ্ট হয়। সেখানে ওজুখানা নাই, সৌচাগারের ব্যবস্থাও নাই। মডেল মসজিদটি দ্রুত নামাজের উপযোগী করার জন্য দাবি জানান।অস্থায়ী মসজিদের ইমাম সিয়াম আহমেদ বলেন, আমরা যে জায়গায় নামাজ পড়ি তা খুবই ছোট একটি টিনের ঘর। সেখানে একসাথে ১৫-২০ জনের বেশি নামাজ আদায় করা যায় না। এর বেশি হলে মানুষ অন্যত্র চলে যায়। এখানে জরাজীর্ণ ওজুখানা থাকলেও সৌচাগারের অভাবে মুসল্লীদের কষ্ট হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল মসজিদে নামাজের জন্য দ্রুত উন্মুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

বিষয়টি নিয়ে ইসলামী ফাউন্ডেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উপপরিচালক আশেকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, চারতলা ভবনের দুই, তিন ও চার তলায় নামাজের স্থান রয়েছে। আমরা পূর্বে ভাড়াকৃত ভবনে অফিসের কার্যক্রম চালিয়েছি। মডেল মসজিদ উদ্বোধন হওয়ার পর ঢাকা হেড অফিস থেকে নির্দেশ করেন মডেল মসজিদে অফিস স্থানান্তর করার জন্য। সে মোতাবেক আমরা গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ অফিস কার্যক্রম স্থানান্তর করেছি। মসজিদ, মিলনায়তন এবং পাঠাগার কবে চালু হবে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ এখনো বাকি আছে। তাছাড়া ভবনটি গণপূর্ত অধিদপ্তরে এখনো হস্তান্তর করা হয়নি। গণপূর্ত বিভাগ আমাদের কাছে হস্তান্তর করলে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করতে পারবো।উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকার গত ২০১৭ সালে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন শীর্ষক (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্পটি গ্রহণ করে। মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলো ৪৩ শতাংশ জমির ওপর তিন ক্যাটাগরিতে নির্মিত হয়েছে। এর মধ্যে  জেলা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে চারতলা, উপজেলা পর্যায়ে তিনতলা এবং উপকূলীয় এলাকায় চারতলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top