আজ: সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   | সময়: সকাল ১০:০২ |

জাল সনদে চাকুরী,  ধরা পড়ার পরেও এখনও বহাল আছেন সেই শিক্ষকঃ 

কোটচাঁদপুর  থেকে আশরাফুজ্জামান ;

জাল সনদে চাকুরির ১৪ বছর পর ধরা পড়লেন ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে সাফদারপুর মুনছুর আলী একাডেমির সহকারী শিক্ষক আবুল খায়ের। তবে এখনও বহাল তবিয়তে বিদ্যালয়ে রয়েছেন ওই শিক্ষক। জাল সনদে চাকুরি করায় হতে পারে জেল জরিমানা সহ অনেক কিছু বললেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম।

কোটচাঁদপুরের সাফদারপুর মুনছুর আলী একাডেমির প্রধান শিক্ষক আমিন উদ্দিন বলেন, গেল ২০১০ সালের দিকে আবুল খায়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে বিদ্যালয়ে চাকুরীতে যোগদান করেন। তিনি ছিলেন (সমাজ বিজ্ঞান) বিষয়ের শিক্ষক। সে থেকে আবুল খায়ের বিদ্যালয়ে চাকুরি করে যাচ্ছেন। 

এরপর গেল ২৩ অক্টোবর ওই শিক্ষকের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জাল অভিযোগে  পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর প্রেক্ষিতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম আবুল খায়েরের কাগজ পত্র চেয়ে পাঠান। আমি তাঁর সব কাগজপত্র জমা দিয়ে এসেছি। এরপর কি হয়েছে আমার জানা নাই। 

প্রকৃত অর্থে তাঁর সনদ জাল হলে কি ব্যবস্থা নিবেন,এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটার ব্যবস্থা নেওয়ার আমি কেউ না। ব্যবস্থা যা নেবার নিবেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। তিনি আমাকে যা বলবেন আমি সেটা করতে বাধ্য। ওই শিক্ষক এখনো বিদ্যালয়ে আছে কিনা জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, যেহেতু তাঁর সনদ জাল ওই সংক্রান্ত কোন কাগজ পত্র আমার কাছে আসে নাই। সে কারনে ওনি বিদ্যালয়েই আছেন। বিষয়টি নিয়ে অ়ভিযুক্ত শিক্ষক আবুল খায়েরের সঙ্গে  কথা বলতে মোবাইলে কল করা হয়েছিল। তবে বিষয়টি নিয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে চাননি।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম বলেন,শিক্ষক আবুল খায়েরের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জাল এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় পত্রিকায়। এরপেক্ষিতে গেল ২৯ অক্টোবর অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল খায়েরের নিয়োগকালীন সকল কাগজপত্রসহ তার শিক্ষা নিবন্ধন সনদের কপি চেয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষককে জেলা শিক্ষা অফিসে তলব করা হয়। 

এরপর তাঁর কাগজপত্র দেখে শিক্ষা নিবন্ধন সনদটি জাল বলে আমার সন্দেহ হয়। পরে ওই কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য এন-টিআরসিএতে পাঠানো হয়। যাচাই বাছাই শেষে ১৯ নভেম্বর এনটিআরসিএ থেকে আবুল খায়েরের সনদটি ভুয়া ও জাল বলে প্রমানিত হয়। এরপর সংস্থাটির সহকারী পরিচালক (পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন-৩) সাইফুল ইসলাম ওই সংক্রান্ত একটি প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন জেলা শিক্ষা অফিসে। 

তিনি বলেন, এখন তাঁর শিক্ষক নিবন্ধন সনদ যে জাল তা প্রমানিত হয়েছে। তিনি জাল সনদে চাকুরি করায় হতে পারে জেল জরিমানা সহ আরো অনেক কিছু। তিনি আরো বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে আপনাদের আর কারো কিছু বলতে হবে না। যা করার তা সরকারই করবেন। তাঁর চাকরি যাওয়া ও শাস্তি এখন শুধু সময়ের ব্যাপার বলে জানিয়েছেন তিনি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top