আজ: সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,   | সময়: রাত ৪:৫৪ |

যার জন্য বাড়ির দরজা সবসময় খোলা শ্রীময়ীর

টালিউড নির্মাতা রাজ চক্রবর্তীর কণ্ঠে নিজের ছবির প্রচারে ‘সন্তান সন্তান সন্তান’ স্তূতি । গত মঙ্গলবার এই ছবির বিশেষ স্ক্রিনিংয়ে উপস্থিত ছিলেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। সদ্য তাদের পরিবারে এসেছে ‘সন্তান’। মেয়ে কৃষভির নামে অজ্ঞান বাবা কাঞ্চন— এমনটিই জানিয়েছেন বর্তমান স্ত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ। তবে কাঞ্চনের আরও এক সন্তান রয়েছে। তার নাম ওশ।  শ্রীময়ীর এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে যা বলেছেন ওশের মা পিঙ্কি।

কাঞ্চন ও পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলে ওশ। সে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। ছেলের বয়স যখন ১০ বছর, সেই সময় বিচ্ছেদ হয় কাঞ্চন-পিঙ্কির। তার মাস কয়েকের মধ্যে নতুন করে শ্রীময়ীর সঙ্গে ঘর বাঁধেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক ও অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। 

এবার ‘সন্তান’ দেখে শ্রীময়ী আনন্দবাজারের এক সাক্ষাৎকারে জানালেন তার মনের কথা। কাঞ্চনের ছেলে ওশ যে তার সন্তানসম— সে কথা জানিয়ে শ্রীময়ী বললেন, ওশের জন্য বাড়ির দরজা সবসময় খোলা। এমনকি ছেলেকে যে বাবা মিস করেন, সেটিও স্পষ্ট করেন তিনি। শ্রীময়ী এমন অনুভূতির পাল্টা উত্তর দিয়েছেন পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়।

শ্রীময়ী বলেন, ওশ তো আমারও সন্তানসম। আমার কাছে কৃষভি যা, ওশ-ও তাই। কাঞ্চন ছেলেকে প্রচণ্ড ভালোবাসে, আজও। প্রতি পদে মিস করে তাকে। জানি না ওশ বড় হয়ে কাঞ্চনের এই অনুভূতি বুঝবে কিনা। তিনি বলেন, তবে আমার দিক থেকে বলছি— আমাদের বাড়িতে ওশের অবারিত দ্বার। ওশ কোনো দিন যদি কাঞ্চনের কাছে এসে দাঁড়ায়, থাকতে চায় আমাদের কাছে— ‘তৃতীয় ব্যক্তি’ হয়ে বাধা দেব না। 

শ্রীময়ীর এ কথা শুনে সাবেক কাঞ্চনপত্নী পিঙ্কি বলেন, ভবিষ্যতে কী হবে না হবে— সব উত্তর সময় দেয়। তিনি আরও বলেন, ঠিক আছে, ধন্যবাদ ওর মহান উক্তির জন্য। তবে ওশ বাবাকে মিস করে না। আমরা চাই ওরা খুব ভালো থাকুক। যতটা ভালো থাকা যায়। আর আমার সঙ্গে খারাপ কিছু হয়নি, যা হয়েছে ভালো হয়েছে।

ছেলে ওশ এখন বয়ঃসন্ধিতে পা দিয়েছে। ওদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায় কাঞ্চন-শ্রীময়ী ও তাদের নতুন সন্তানকে নিয়ে নানা চর্চা। ছেলেকে কী সেসব থেকে সচেতনভাবে দূরে রাখছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে পিঙ্কি জানালেন— ছেলেকে সেভাবেই বড় করছেন, যাতে সে নিজের বিচারবুদ্ধি দিয়ে সব কিছু বিবেচনা করতে পারে। পিঙ্কি আরও বলেন, ছেলে পড়াশোনায় ভালো হয়েছে, শিক্ষকদের কথা শোনে। সেদিক থেকে বাধ্য। আসলে আমি একটাই কথা বিশ্বাস করি— গাছের ফল বলে দেয় গাছের পরিচর্যা কেমন হয়েছে। আমার মনে হয় সন্তান মানুষ করার সময়টা হলো তপস্যা করার মতো। সেই সময় সেটা নিয়ে খুব বেশি কথা বলা উচিত নয়। আর একশ্রেণির বাচ্চাদের নাগালে সুশিক্ষার সুযোগ আছে। তাদের কাছে ফোনে দেখার জন্য এত ভালো জিনিস রয়েছে, তার পরে গসিপ বা জঞ্জাল দেখার সময় ওদের নেই। 

পিঙ্কি বলেন, যেহেতু ওশকে ‘সন্তানসম’ বলেছেন শ্রীময়ী, কৃষভির প্রতিও একই মনোভাব পিঙ্কির।  তিনি বলেন, ও খুব ভালো থাকুক, এই ব্রহ্মাণ্ড যেন ওকে সব খারাপের থেকে রক্ষা করে। খুব ভালো থাকুক।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top