পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এই ঘোষণা দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর এই দেশটির দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক-ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ব্যাহত হতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের চারটি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যার মধ্যে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন প্রতিরক্ষা সংস্থাও আছে। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্তার বা সরবরাহ করে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোতে এসব নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, একটি নির্বাহী আদেশের অধীনে ‘গণবিধ্বংসী অস্ত্র এবং সেগুলো সরবরাহের উপায়গুলোকে লক্ষ্য করে’ পাকিস্তানের জাতীয় উন্নয়ন কমপ্লেক্স এবং তিনটি সংস্থার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থার যেকোনো সম্পত্তি জব্দ হবে এবং আমেরিকানদের সঙ্গে তারা ব্যবসাও করতে পারবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া পাকিস্তানের এই চার সংস্থা হচ্ছে দ্য ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কমপ্লেক্স (এনডিসি), আক্তার অ্যান্ড সনস প্রাইভেট লিমিটেড, অ্যাফিলিয়েটস ইন্টারন্যাশনাল ও রকসাইড এন্টারপ্রাইজ।
যাইহোক, পাকিস্তান সুস্পষ্টভাবে দেশের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির সাথে যুক্ত প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে একতরফা আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তকে অন্যায়, ভিত্তিহীন এবং অযাচিত বলে অভিহিত করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মমতাজ জাহরা বেলুচ বলেন, পাকিস্তান এই পদক্ষেপটিকে পক্ষপাতমূলক এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসাবে বিবেচনা করে।
একইভাবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২৩ সালের অক্টোবরে – পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত প্রযুক্তি সরবরাহ করার জন্য তিনটি চীনা কোম্পানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।