
মতিউল ইসলাম (মতি) কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি,
কক্সবাজার পর্যটন ব্যবসায়ীদের পর্যটক হয়রানি না করার বিষয়ে প্রতিজ্ঞা করিয়েছেন টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত এডিশনাল ডিআইজি আপেল মাহমুদ পর্যটকের ভিড়ে মুখরিত হয়ে ওঠেছে সমুদ্র সৈকত সাগর কন্যা কক্সবাজার। আকাশের মেঘ ছুঁয়ে যায় পাহাড়ের বুকে। সবুজ পাহাড় আর নীল আকাশ দেখতে প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের ঢল নেমেছে কক্সবাজারে। অন্যান্য বারের তুলনায় এবার পর্যটকদের আনাগোনা বেশি লক্ষা করা যাচ্ছে।
কক্সবাজারে বিভিন্ন স্পটে ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী আর বাঙালিসহ অসংখ্য পর্যটকের মিলন মেলা সমুদ্র সৈকতে। সাগর,পাহাড়, এবং ঝরনা ঘেরা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। তাইতো যেকোনো ছুটিতে সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ করতে আসে দেশের নানান প্রান্তের পর্যটকেরা। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে মাঝখানে বেশ কিছু সময় পর্যটন শিল্পে স্থবিরতা দেখা দিলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় পর্যটক সমাগম হতে শুরু করেছে সমুদ্র সৈকতে।যেমন- ইনানী, হিমছড়ি, পাটোয়ার টেক,কাকড়া বিচ, মিনি বান্দরবান,শাহপরীর দ্বীপ সেন্টমার্টিন, কলাতলী ঝর্ণা পাহাড়,উচু পাহাড়। বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলো এখন পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। দূর দূরান্ত থেকে ছোটে আশা পর্যটকরা বলেন সবুজ পাহাড়ের বুকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থান সমুদ্র সৈকত । এ যেন এক কল্পনারাজ্য!
এখানেই যেন সৌন্দর্যের আবেশে প্রকৃতির সান্নিধ্যে হারিয়ে যাওয়া যায় অনায়াসে। কক্সবাজারের প্রতিটি জিনিসই সুন্দর আর পাহাড়, সমুদ্র প্রকৃতি ও নদী-ঝর্ণা মিলে আমাদের মনকে চাঙা করে।ঢাকা থেকে আসা একজন পর্যটক ইমন জানান, ঈদের এই টানা ছুটিতে বন্ধুদের সাথে নিয়ে কক্সবাজার সমুদ্র এবং পাহাড়ের আকাঁ বাকাঁ রাস্তার সৌন্দর্য উপভোগ করেছি। এ যেন এক অপরুপ সৃস্টি, চারদিকে চোখ জুড়ানো পাহাড় আর পাহাড়। উচুঁ পাহাড়গুলো যেন ঢেউ খেলানো শাড়ি। এবং পাহাড়ের বুক ছিড়ে বয়ে গেছে সবুজ লোনা পানির সমুদ্র। যা দেখলে কিছু সময়ের জন্য ভুলে যায় অতীতের খারাপ সময় গুলো, সবকিছু মিলিয়ে বলা যায়, সৃষ্টিকর্তার এক আজব খেলা।
কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত এডিশনাল ডিআইজি মাহমুদ বলেন। আমরা পর্যটনকেন্দ্রে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সার্বক্ষণিক কাজ করছি। এর পাশাপাশি ঈদের ছুটিতে আগত অতিরিক্ত পর্যটকদের বিষয়টি মাথায় রেখে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সজাগ রয়েছি।আমি নিজ তহবিল থেকে টাকা খরচ করে আঙ্গুল ছাপ বসানোর সাথে সাথে আমাদের হেল্প লাইনে যেন ফোন আসে সেই সিস্টেম চালু রেখেছি। সাথে সাথে পুলিশ পৌঁছে যাবে, পর্যটক যেন নিরাপদে থাকে সে ব্যবস্থা রেখেছি। অপরাধীদের কটুর হাতে নিয়ন্ত্রণ করা হবে অতিরিক্ত এডিশনাল ডিআইজি আপেল মাহমুদ।