আজ: রবিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, | সময়: রাত ১:০৭ |

বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সংবাদ সম্মেলন।

স্টাফ রিপোর্টার মোঃ সোহেল রানা।

জিগজাগ ইটভাটার ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন জটিলতায় বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি সংবাদ সম্মেলন করেন। গত ২৭ শে ফেব্রুয়ারী সকাল ১০ টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ক্রাইম এসোসিয়েশনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে প্রকাশিত বর্তমানে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে জিগজাগ ইটভাটার সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

মাননীয় উপদেষ্টা সৈয়দা রেজিওয়ানা হাসান দায়িত্বশীল হলেও জিগজাগ ইটভাটার সমস্যা সমাধানের কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

বাংলাদেশে ইটভাটা মালিকগন বিগত ৩৫/ ৪০ বৎসর অনেক প্রতিকুলার মধ্যে দিয়ে ইটভাটার ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসতেছে।

দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সমতা রেখে আমরা ইটভাটার মালিকগন বায়ুদূষণ রোধে সরকার নির্দেশিত আধুনিক প্রযুক্তির জিগজাগ ভাটা স্থাপন করি যাহা সাশ্রয়ী, পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি, ও উপমহাদেশে টেকশই এবং সহজ প্রযুক্তি হিসাবে পরিচিত। এই শিল্পে প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক কর্মরত আছে ও ৫০ লাখ পরিবার তথা ২ কোটি মানুষের রুজির ব্যবস্থা আমরাই করেছি। ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেলে এই সাধারণ জনগন বেকার হয়ে যাবে। ইটভাটার মালিক গন বছরে হাজার হাজার কোটি টাকার অধিক রাজস্ব দিচ্ছে। প্রতিটা ইটভাটার ব্যাংক লোন রয়েছে ১ কোটি টাকার ওপরে। ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেলে মোট ৮ হাজার কোটি টাকা সমূদয় ব্যাংক লোন অনাদায়ী থেকে যাবে। বর্তমানে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে এখন দেশের ইটভাটা সমূহ মাএ ৫-১০% বায়ু দূষণ করছে, জৈব বস্ত পোড়ানোতে ৪০% এবং যানবাহনের কালো ধোঁয়া ৫০% ইহা দৈনিক প্রথম আলো পএিকায় ৬-৩-২০২১ ইং তারিখে প্রকাশিত – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রসায়ন বিভাগের জরিপে। পূর্বে ইটভাটার দূষণমাএা ৫৮%। বিদ্যমান জিগজাগ ইটভাটায় আরও অধিকতর উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিবেশ দূষণ কমিয়ে আনা সম্ভব।

ড্রাম চিমনী, ফিক্সড চিমনী ও লাকড়ি দিয়ে ইউভাটা বন্ধ করার সিদ্ধান্তে উপদেষ্টার সঙ্গে আমরা একমত পোষণ করি। কিন্তুু সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ তাহার বিপরীত মুখী অবস্থান নিয়ে বৈধ জিগজাগ ইটভাটায় জরিমানা ও ভাংচুর করছেন। এই সরকার কে বিব্রতকর অবস্থায় ঠেলে দিতে চাই না। বিগত ফ্যাসিষ্ঠ সরকারের মদদপুষ্ট বসুন্ধরা, কনকর্ড সহ আধিপত্যবাদী প্রতিষ্ঠান সমূহ ইট শিল্প কে ধ্বংশের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বর্তমান সরকারের মুখোমুখি আমাদের দাঁড় হতে হয়েছে আমলাতান্ত্রিকদের জটিলতায়।

২০১৩ ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ সংশোধন আইন ২০১৯ এ বর্নিত জিগজাগ ইটভাটার ছাড়পএ ও লাইসেন্স প্রাপ্তি জটিলতা নিরসনের জন্য বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির প্রস্তাব উল্লেখ করেন।
১) ২০১৩ সনের ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনের জিগজাগ ভাটা পদ্ধতির উল্লেখ থাকলেও উক্ত আইনের ৮(৩) (ঙ) এবং ৮(৩) (খ) উপ ধারায় দূরত্ব নির্দিষ্ঠ করনের কারনে দেশে কিছু জিগজাগ ইটভাটার মালিকগন ছাড়পত্র ও লাইসেন্স পাচ্ছেন না।
২) জিগজাগ ইটভাটায় মোবাইল কোর্ট দারা জরিমানা করা যাবে না।
৩) সরকারি ভাবে আর্থিক খতিপুরন দিয়ে ভাটা বন্ধ করতে হবে।
৪) পরিবশগত ছারপএ, থেকে সকল ডকুমেন্টস জমা নেওয়ার বিধানের উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ।
৫) ইট ভাটা কে শিল্প হিসাবে ঘোষণার দাবী।
৬) ইটভাটা পরিচালনায় দীর্ঘ মেয়াদি পূর্নাঈ নীতিমালা প্রনায়ন এর দাবি জানান বাংলাদেশ ইট ভাটা প্রস্তুত কারী মালিক সমিতি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top