
সাজ্জাদুল হক :;
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় আলু চাষে কৃষকেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। সারের বাজারে চলছে সিন্ডিকেটের দাপট, কৃষকদের অভিযোগ, সারের ডিলারেরা সংকট সৃষ্টি করে সরকারের নির্ধারিত মূল্য ছাড়িয়ে চড়া দামে সার বিক্রি করছে। টিএসপি সারের সংকট এতটাই প্রকট যে অনেক কৃষক দিনের পর দিন ডিলার এর কাছে ঘুরেও নির্ধারিত মূল্যে ছাড় পাচ্ছেন না।
বাড়তি দামের কারণে গত বছরের তুলনায় এ বছর বিঘাপতি উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা। অনুসন্ধানে দেখা গেছে কিছু প্রভাবশালী আসাদু ডিলার ও ব্যবসায়ী মজুদকৃত সার লুকিয়ে রেখে শংকট তৈরি করছে। আবার
কেউ কেউ সরাসরি গোডাউনে সারের মজুদ রেখেও দাবি করছে সার নেই,মধ্যসত্য ভোগীরা এই সংকটের সুযোগ নিয়ে বেশি দাম দিয়ে বিক্রির শর্তে কৃষকদের কাছে সার সরবরাহ করছে। এতে কৃষকেরা অসহায় ও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
কালাই উপজেলা মোসলেমগঞ্জ বাজারে কৃষক হাফিজার রহমান আক্ষেপ করে বলেন নির্ধারিত মূল্যে সার চাইলেও দিতে চায় না,কিন্তু বেশি টাকা দিলে তবে মেলে। ডিলারদের পক্ষ থেকে পৌর এলাকার সার ডিলার আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ও আব্দুর গফুর মন্ডল বলেন, কৃষকদের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে আমরা নিজেরাও বেশি দামে সার কিনে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি,আমরাও সিন্ডিকেটের কাছে অসহায়।
উপজেলা কৃষি অফিসার অরুণ চন্দ্র রায় বলেন আশা করছি নতুন সারের বরাদ্দ এলে সার সংকট কমবে, এবং কৃষকরা স্বস্তিতে আলু চাষ করতে পারবেন। সিন্ডিকেট নিরসনে প্রশাসনের নেওয়া উদ্যোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা আখতার জাহান বলেন ভ্রাম্যমান, আদালতের মাধ্যমে কয়েকজন ডিলারকে জরিমানা করেছি। এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। বেশি দামে সার বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক, আফরোজা আক্তার চৌধুরী বলেন কৃত্রিম, সংকট তৈরি করা ডিলারদের তালিকা তৈরি করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।